
বাংলাদেশে প্রচুর চাহিদা থাকায় চাষ হচ্ছে প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিটরুট। এবছর উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির অন্যতম সফল প্রকল্প কৃষি ইউনিটের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের এক ব্যক্তির ১০ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত প্রদর্শনী হিসেবে বিটরুট চাষ করা হয়। এলাকায় নতুন এই সবজি বিটরুট চাষ করে কৃষক মো. আব্দুস সবুর আশা করছেন ফলন ও দাম ভালো পাবেন এবং আগামী বছর এক বিঘা জমিতে তিনি বিটরুট চাষ করবেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কৃষকের ক্ষেতে বিটরুট পরিদর্শন করেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন-বিটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ফাইবার ছাড়াও এতে মিলবে প্রচুর ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন আর ভিটামিন সি।
বিটরুট কাঁচা সালাদ হিসেবে অথবা সেদ্ধ বা রান্না করে খাওয়া যায়। বিটের পাতাতেও আছে ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েড। সেই সঙ্গে থাকে লুয়েটিন নামক অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। এর প্রত্যেকটিই ফ্রি র্যাডিকালসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে।
আমাদের ত্বক স্বাস্থ্যকর ও টানটান রাখার জন্য প্রতিদিন নতুন কোষের উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন, ভিটামিন এ এই প্রক্রিয়াটিকে সুনিশ্চিত করে। ভিটামিন সি-এর ফলে কোলাজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য উপকারি। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে অনেকেই মনে করেন। বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-টিউমার গুণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের হাত থেকে সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচায়।
নিয়মিত বিটের জুস খেলে পলিটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান ক্যানসারে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানটির জন্যই বিটের রঙ এত গাড় লাল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিটের জুড়ি নেই।